‘জয় হিন্দ’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলো রাবি প্রশাসন





রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) একটি অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের দেওয়া ‘জয় হিন্দ’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রশাসন। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। উপাচার্যের বক্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিকৃত করে উপস্থাপনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।
জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে রাবির ইতিহাস বিভাগ ও জন ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র আয়োজিত ‘কালচার, পিস অ্যান্ড এডুকেশন ফ্রম দ্য পার্সপেক্টিভ অব পিপলস হিস্ট্রি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য ‘জয় হিন্দ’ বলেছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। উপাচার্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সর্বাঙ্গীণ সহযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধকালীন শরণার্থীদের খাদ্য-বাসস্থানের জোগান দান, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতার জন্য তৎকালীন ভারত সরকার ও সেই দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভারত রাষ্ট্রের দীর্ঘায়ু কামনা করতে গিয়ে উপাচার্য অতি প্রাসঙ্গিকভাবেই ‘জয় হিন্দ’ শব্দযুগল ব্যবহার করেন এবং তা তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ উচ্চারণের পরে বলেন। তবে স্বার্থান্বেষী মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান স্থিতিশীল অবস্থা ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রগতি রোধে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টির জন্য এ ধরনের বিভ্রান্তি ও সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে।”
উপাচার্যের ‘জয় হিন্দ’ বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়েন উপাচার্য। ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায় এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়।