‘দুর্নীতিবাজ’ প্রশাসনের অপসারণ দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ





দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষকদের অবস্থাননিয়োগ বাণিজ্য, দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অপসারণ চেয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সিনেট ভবনের সামনে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের ব্যানারে এ দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন প্রগতিশীল শিক্ষকরা। প্যারিস রোডে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে সকাল ১০টার দিকে জোহা চত্বরে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন।


সমাবেশে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুজিত কুমার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যখন ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্ণধার বলেন, ‘তোমরা কত টাকা দিতে পারবা?’ এর মানে কী দাঁড়ায়? আমি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।”
দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থানগণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘সাংবাদিকরা মত প্রকাশ করতে পারছে না। একটা বাধা আছে। এটা সরে গেলেই জাতির সামনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক দুর্নীতির খবর বেরিয়ে আসবে।’
ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চলবে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষকের অবস্থানবিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসনের দুর্নীতির কারণে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ৩.৮৬ পেয়েও শিক্ষক হতে পারে না। অথচ উপাচার্যের জামাতা হওয়ায় সিজিপিএ ৩.২৫ পেয়েও শিক্ষক হন।’
এ সময় ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক আলী রেজা টিপু বলেন, ‘প্রশাসনের দুর্নীতির শেকড় এই শিক্ষাঙ্গন থেকে উপড়ে না ফেলা পর্যন্ত শিক্ষক সমাজ আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’ এই যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
দুর্নীতির ‍বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মিছিলএসময় আরও উপস্থিত ছিলেন—প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, শামসুন নাহার, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা মিজানুর রহমান, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক মুজিবুল হক আজাদ খান প্রমুখ।
এদিকে, একই দাবিতে শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরাও। শিক্ষকদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধনে অংশ নেন তারা। শিক্ষার্থীরা ‘দুর্নীতির আস্তানা—ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘স্বজনপ্রীতির আস্তানা—ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।