পাবনায় খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাসহ ৬ জন কারাগারে

পাবনাপাবনার ভাঙ্গুড়া এলএসডি খাদ্য গোডাউনের বিপুল পরিমাণ গম আত্মসাৎ করার পর গোজামিল দিয়ে হিসাব দাখিল করতে গিয়ে দুর্নীতি দমন কমশিন (দুদক) টিমের কাছে ধরা পড়েছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাসহ তদন্ত কমিটির সদস্যরা। দুদকের দায়ের করা মামলায় জামিন নিতে এসে বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এলএসডি গোডাউনের কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটির সদস্যসহ ৬ জনকে।

পাবনার স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে বিচারক শেখ মো. নাসিরুল হকের কাছে জামিন চান দুদকের দায়ের করা মামলার আসামি সাবেক উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ওমর হোসেন, সাবেক উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুস সামাদ, সাবেক উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জয়নাল আবেদীন, সাবেক খাদ্য পরিদর্শক মো. সাদাত হোসেন, খাদ্য পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবীর ও ব্যবসায়ী মো. মনিরুল ইসলাম (বকুল)।

দুদক পাবনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ জুন ভাঙ্গুড়া এলএসডি গোডাউনে ১৪০ বস্তা গম কম ছিল। এ ঘটনায় গোডাউনের ওসি পরিতোষ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ঘটনার আট দিন পর একই গোডাউনে ১৪০ বস্তা গম বেশি দেখানো হয়। যা আগের কমের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।

অথচ বাৎসরিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৩০ জুন ৩ ও ৬নং গোডাউন মিলে মোট ১৩১৪.২৪৩ মে.ট. গম ছিল। ৬নং গোডাউনে ২ হাজার ৪০০ বস্তা গম মজুত ছিল এমন স্বাক্ষর রয়েছে ইউএনও ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের।

একই বছরের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত আর কোনও গম প্রবেশ বা বের করা হয়নি। অথচ ওই বছরের ৩ আগস্ট ওই খামালে ২ হাজার ৫৪০ বস্তা গম পাওয়া যায়। যা দুদকের কাছে অস্বাভাবিক ছিল। ওই বছরের ২৬ জুলাই খাদ্য গুদাম থেকে জনসাধারণের ৩০০ বস্তা অর্থাৎ ১৫ মে.টন গম বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয়। যার মূল্য ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

দুদকের দাবি, ওই গম ওসি পরিতোষ কুমার সরকার (সাময়িক বরখাস্ত) আত্মসাৎ করেছেন। মামলার অন্য আসামিরা তদন্ত কমিটির সদস্য। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিক পন্থায় ভুল তথ্য রেকর্ড করায় তারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ ঘটনায় দুদকের পক্ষে ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার বাদী ছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান এবং মামলাটির তদন্ত করেন উপসহকারী পরিচালক আব্দুল করিম মোল্লা।