মেননের বক্তব্যের জবাব চাওয়া হবে: নাসিম

সিরাজগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন মোহাম্মদ নাসিম‘গত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি’—ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের এমন বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, ‘১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতির এমন বক্তব্য দেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তার কাছ থেকে সবসময় দায়িত্ববোধ থেকে বক্তব্য আশা করি। ১৪ দলের মিটিং ডেকে এর জবাব চাওয়া হবে।’

রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে তার নির্বাচনি এলাকা সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমের শুরুতে সূচনা বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন। কাজিপুর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দীকি ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহান আলী উপস্থিত ছিলেন।

নাসিম বলেন, ‘মেননের ওই বক্তব্য ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। ১৪ দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। জনগণ ভোট দিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠার এক বছর পর তিনি কেন এ কথা বললেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনা করছে। জনগণ ভোট দিয়েছেন বলেই রাশেদ খান মেনন এমপি হয়েছেন। আমরা তার বক্তব্যে বিস্মিত।’

উল্লেখ্য, শনিবার (১৯ অক্টোবর) বরিশালে এক অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর কোনও নির্বাচন হয়নি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, ওই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এমনকি পরবর্তীতে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ।’

মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী যেকোনও সরকারের চেয়ে শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দিয়েছেন। তাঁদের সম্মানিত করেছেন, ভাতা দিয়েছেন।’

১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, ‘পাকিস্তানি শোষণের কবল থেকে এ দেশকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতি লাল সবুজের একটি পতাকা পেয়েছে। তবে একটি কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্রে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যার পর এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলুণ্ঠিত হয়। পঁচাত্তর পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির লক্ষ্যে ভুয়া তালিকা তৈরি করে। এ কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কে আসল আর কে নকল তা স্পষ্ট করার জন্য যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’