বিজয় র‌্যালিতে হামলা, আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৩০

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষসিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের বিজয় র‌্যালিতে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, বেশ ক’টি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এতে উভয় দলের নেতাকর্মী ও পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের পূর্বদিকে কালিবাড়ি-ইলিয়ট ব্রিজ রোডে এ ঘটনা ঘটে। র‍্যালিতে হামলার জন্য দুই পক্ষই একে অপরকে দায়ী করেছে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষআহতদের মধ্যে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরু মুন্সীর ছেলে সোহাগ মোল্লা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিটলার শামিম, মোহাম্মদ আলী স্বপন, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাইকুল হাসান, জিব্রাইল হোসেন, ফিরোজ আহম্মেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম এবং সদর থানার উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক আবু জাফর নয়ন রয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষপৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরা মুর‌্যালের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে একটি বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। এতে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যোগ দেন। র‌্যালিটি ইলিয়ট ব্রিজ-কালিবাড়ি রোডে ওঠা মাত্রই বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অতর্কিতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলায় আমি নিজেসহ কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছি।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু স্থানীয় নেতাকর্মীদের বরাত দিয়ে বলেন, ‘বিজয় র‌্যালি থেকে সরকারদলীয় লোকজন বিএনপির ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের কমপক্ষে ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। পুলিশের সাহায্য নিয়ে তারা জেলা বিএনপির পার্টি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও বেশ ক’টি দোকানপাট ভাঙচুর করে। বিষয়টি ন্যক্কারজনক। পুলিশ যদি বরাবরই এক দলের পক্ষে কাজ করে, তাহলে গণতন্ত্র থাকে কোথায়?’ 

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) ফোরকান শিকদার বলেন, পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বিএনপির লোকজন পুলিশের ওপর উল্টো হামলা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ ক’জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।