নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুমার নামাজের কারণে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা নেতাদের বক্তব্য বন্ধ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সুযোগ দেন সভার সঞ্চালক জাপার জেলা সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমর। তখন সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম হাত উঁচিয়ে সবাইকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে বলেন। এ সময় জেলা সভাপতি জিন্নাহ এমপির দিকে আঙুল তুলে কথা বলার অভিযোগ এনে শিবগঞ্জ (জিন্নাহর এলাকা) উপজেলার নেতাকর্মীরা শফিকুলের দিকে তেড়ে আসেন। এতে সভা বন্ধ হয়ে যায় এবং হট্টগোল শুরু হয়। বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। এরইমধ্যে জেলা যুব সংহতির সভাপতি শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক ও তার লোকজন নন্দীগ্রাম উপজেলা জাপা সভাপতি নুরুল আমিন বাচ্চুকে মারধর করেন। এ সময় মেঝেতে পড়ে গেলে বাচ্চুর পায়ে আঘাত করা হয়। এতে তার পা ভেঙে যায়। পরে তাকে শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পায়ের প্লাস্টার শেষে তাকে বাসায় পাঠান চিকিৎসকরা।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ফারুক বলেন, ‘আমি হামলার সঙ্গে জড়িত নই। জেলা জাপা সভাপতির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বাচ্চুর পা ভেঙে দিয়েছেন।’
এ প্রসঙ্গে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমর জানান, সময় স্বল্পতার কারণে ২৩ সাংগঠনিক কমিটির সবাইকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া যায়নি। এ নিয়ে সভায় হট্টগোল ও বাকবিতণ্ডা হয়েছে। তখন নুরুল আমিন বাচ্চু পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। পরে ঊর্ধ্বতন নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে, সমাপনী বক্তব্যে জেলা জাপা সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর মাইক নিয়ে যুব সংহতির সভাপতি ফারুক ক্ষমা চেয়েছেন বলেও দলীয় নেতারা জানিয়েছেন।