বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ

বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরবীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ (১৪ ডিসেম্বর)। দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার মাত্র দু’দিন আগে ৭ নম্বর সেক্টরের অধীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা পাড়ের রেহাইচর গ্রামে সম্মুখযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন তিনি। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে ৭ নম্বর সেক্টরের প্রথম সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল হকের কবরের পাশে তার লাশ দাফন করা হয়।


স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে মুক্ত করতে বারঘরিয়া মহানন্দা নদীর পাড়ে আসেন। তিনি তার বাহিনীকে নিয়ে ৩ ভাগে ভাগ হয়ে শহরের ঢোকার পরিকল্পনা করেন। ১৪ ডিসেম্বর ভোরে একটি ছোট নৌকা নিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে রেহাইচর গ্রাম থেকে শত্রুদের লক্ষ্য করে গুলি করতে কারতে সামনের দিকে এগোতে থাকেন। শত্রুদের শেষ বাঙ্কারে চার্জ করার সময় পাশের একটি জানালা থেকে রাজাকার বাহিনীর ছোড়া বুলেট জাহাঙ্গীরের কপালে বিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন জাতীর এই সূর্যসন্তান।

পরদিন ১৫ ডিসেম্বর তার লাশ উদ্ধার করে ঐতিহাসিক সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। সেই দিন জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করতে গিয়ে ইয়াকুব নামের আরও এক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

এ উপলক্ষে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় রেহাইচরে বীরশ্রেষ্ঠ’র স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট ও জেলা প্রশাসন। স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ ফেরদোসী ইসলাম জেসি, জেলা প্রশাসক এজেডএম নুরুল হক, পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম এবং সাবেক মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা কমান্ডার আব্দুর রহমান। এরপর বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দেওয়া হয়।

পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এদিকে, মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের সমাধিস্থলে কোরআনখানি, কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে।