আশ্বাসেই ৪৮ বছর পার!

নৌকায় বাঙালি নদী পার হচ্ছেন স্থানীয়রাস্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পোড়াপাইকড় গ্রামে বাঙালি নদীর ছলুর ঘাটে সেতু নির্মাণ হয়নি। নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন। এরপর তা আর বাস্তবায়ন হয় না। ফলে সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রায় ৬ লাখ মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে। বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পার হচ্ছেন। তাইতো স্থানীয়রা অবিলম্বে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বগুড়া সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের পোড়াপাইকড় গ্রাম। ওই গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে বাঙালি নদী।  পোড়াপাইকর ও খোসকাতলী এলাকায় একটা সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কারণ সেতু না থাকায় বিপাকে পড়েছেন দুই উপজেলার ১৮ ইউনিয়নের প্রায় ৬ লাখ মানুষ। এলাকাটি কৃষি প্রধান হওয়ায় কৃষকরা তাদের ফসল নৌকায় করে নদী পার করে হাট-বাজারে নিয়ে যান। শুষ্ক মৌসুমে তেমন সমস্যা না হলেও বর্ষায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয় তাদের। অনেক সময় খেয়াঘাটে চাপ বেশি থাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুর পথে যাতায়াত করতে হয়। এতে সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে।

বাঙালি নদীর ছলুর ঘাটের দু’পাশে ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পার হয়। সম্প্রতি এ নদীতে নৌকা ডুবিতে অন্তত ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

পোড়াপাইকর গ্রামের সাজু মিয়া, আবু সাইদ মাস্টার, লুৎফর রহমান, তারিন আকতারসহ স্থানীয়রা জানান, সেতু না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বর্ষার সময় তাদের বেশি সমস্যার পড়তে হয়। অনেক সময় নদীতে নৌকা না থাকায় দীর্ঘপথ পেরিয়ে গন্তব্যে যেতে হয়। বিশেষ করে প্রসূতিদের নিয়ে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। এখানে সেতু নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।

এ প্রসঙ্গে সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী রাশেদ ইমরান জানান, বাঙালি নদীর ছলুরঘাট একটি গুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাট। এ ঘাটে সেতু নির্মাণে মাটি পরীক্ষাসহ প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতু নির্মাণ করতে ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই বরাদ্দ একনেকে পাস হলেই সংশ্লিষ্ট দফতর টেন্ডার আহ্বান করা হবে।