শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে আমন ধান সংগ্রহের বিষয়ে খাদ্য ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বক্তব্য রাখেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের (কর্মকর্তা-কর্মচারী) পর্যাপ্ত বেতন বৃদ্ধি করেছেন। সুতরাং অর্থের জন্য অন্য কোনও জায়গায় হাত পাততে হবে না। তাই আপনারা দুর্নীতিমুক্ত হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এরইমধ্যে কৃষকের কাছ থেকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান কেনার বিষয়টি নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করা হবে। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকতাদের কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা তৈরি করার কথা ছিল। কিন্তু, সেটি না করে ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব অনুযায়ী তালিকা করা হয়েছে। ফলে যেসব কৃষক ধান উৎপাদন করেনি তাদের সেই কার্ডটি মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে এসব মধ্যস্বত্বভোগী লাভবান হচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত কৃষক।’
জেলা প্রশাসক এজেডএম নুরুল হকের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি ও পুলিশ সুপার রকিব উদ্দীনসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
পরে মন্ত্রী জেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শন ও পৌর এলাকার হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বিকালে তিনি জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় একটি ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।