আশরাফুল হক বলেন, ‘রাসিক’র উদ্যোগে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কাজগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরমধ্যে অনেক কাজ চলমান রয়েছে। আবার অনেক কাজ শেষ হয়ে গেছে।’
রাসিকের তথ্যমতে, নগরীর আলিফ লাম মিম ভাটা মোড় থেকে মেহেরচন্ডী পর্যন্ত ফোরলেন রাস্তা এবং ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শেষের পথে। এজন্য নির্মাণে প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২৯ কোটি ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩২ টাকা।
নগরীর বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে কাশিয়াডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত বাইসাইকেল লেনসহ সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ এবং দড়িখরবোনা মোড় থেকে মহিলা কলেজের সামনে হয়ে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজ চলছে।
১৭৩ কোটি টাকার রাজশাহী নগরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলছে। ভেড়িপাড়া মোড় থেকে পুলিশ লাইন হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে হয়ে রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলের সামনে দিয়ে পুলিশ অফিসার্স মেসের সামনে হয়ে হযরত শাহ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ পর্যন্ত, ওয়ার্ডের পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বিশাল বিস্কুট ফ্যাক্টরি মোড় পর্যন্ত সম্প্রসারিত রাস্তা, ইঁতেমখা এলাকা, শহীদ নজমুল হক স্কুলের সামনের রাস্তা, চকপাড়া স্কুল থেকে চকপাড়া বটলতা মোড়, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পাশ থেকে বেঙ্গল ফার্নিচার পর্যন্ত, জিয়া শিশুপার্ক থেকে রাজশাহী বাইপাস, নগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকাসহ ৩০টি ওয়ার্ডের অলি-গলির রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলছে। বিভিন্ন রাস্তার সঙ্গে চলছে ড্রেনেরও কাজ।
অন্যদিকে সংযোগ সড়কের কাজ করছে নগরীর দড়িখরবোনা এলাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিথিন এন্টারপ্রাইজ। রিথিন এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার তৌরিদ-আল-মাসুদ রনি বলেন, ‘সংযোগ সড়কের কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ বাকি আছে। ফ্লাইওভারটি সম্পন্ন হলে বাকি সড়কের কাজ সম্পন্ন করা হবে।’
২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নগরীর সড়কের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। এতে করে ভাঙা আর খানাখন্দে ভরা রাস্তাঘাট পেয়েছে নতুন রূপ।
এ ব্যাপারে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে অনেক সময় বাঁচবে। তাই ফ্লাইওভারসহ সড়কগুলো প্রশস্তকরণ করা হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে রাজধানী ঢাকার মতো অবস্থা তৈরি না হয় রাজশাহী নগরীতে। তাই নগরবাসীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে রাস্তার কাজগুলো অগ্রধিকার ভিত্তিতে দ্রুতগতিতে হচ্ছে। যাতে করে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়। ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় গতি ফিরে আসে। ফ্লাইওভারের কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সামনের মহাসড়কে যানবাহনের ওপর চাপ কমবে।’