জেলা সদরের এ হাসপাতালে প্রতিদিনই বিভিন্ন রোগী আসেন। ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী রয়েছে বর্তমানে। ডায়েবেটিস, হার্ট, কিডনি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট বা ফুসফুসের রোগীও আগে থেকেই আছে। গত এক মাস আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী ৫ তলায় ৮টি বিছানাসহ আইসোলেশন কক্ষ প্রস্তুত করে রাখা হলেও করোনা আক্রান্ত কোনও রোগীর সন্ধান এখনও মেলেনি সিরাজগঞ্জ জেলায়। তারপরেও জ্বর বা সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত কোনও রোগীকে ভর্তি করা হচ্ছে না এখানে।
মেডিসিন ওয়ার্ডের ইনচার্জ শহীদ এমনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মনোয়ার আলী বলেন, এখানে জ্বর বা সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়া রোগীদের পাশাপাশি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীরাও কৌশলে ভর্তি হতে পারেন। যেহেতু এ মুহূর্তে পিপিই ও কোভিড-১৯ পরীক্ষার কীট নেই, তাই অন্যান্য রোগীদের স্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনা করে আপাতত জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না।
তত্ত্বাবধায়ক ডা. রঞ্জন কুমার দত্ত বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে নিরাপত্তা পোশাক বরাদ্দ হয়েছেশিগগিরই পাবো শুনেছি।’
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, যে কোনও ধরনের রোগের রোগীকেই চিকিৎসা দিতে হবে। এটা মানবিক বিষয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নামে ১০০টির মতো পোশাক বরাদ্দ হয়েছে। খুব শিগগিরই তারা পাবে।