বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু ও পুতুলের পারিবারিক সূত্র জানায়, কামরুন্নাহার পুতুল কয়েকদিন আগে ঢাকায় তার অসুস্থ ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পর অসুস্থতাবোধ করেন। তিনি কয়েকদিন ধরে জ্বর, পাতলা পায়খানা ও খাবারে অরুচিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। দুদিন আগে করোনা টেস্টের জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যদিও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহরের কালিতলার বাসা থেকে শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। করোনাভাইরাস সন্দেহভাজন হিসেবেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদানের আগে কামরুন্নাহার পুতুল রূপালী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি তৎকালীন বগুড়া-জয়পুরহাট সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হন। তার স্বামী মরহুম মোস্তাফিজার রহমান পটল ১৯৭৩ সালে বগুড়ার গাবতলী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।