যমুনায় নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার

 

নৌকাডুবির ঘটনায় চলছে উদ্ধার তৎপরতাসিরাজগঞ্জের চৌহালীর দুর্গম স্থল ইউনিয়নে যমুনা নদীতে যাত্রী বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আরও চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে শিশুসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন সাত জন।

চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মওদুত আহম্মেদ, ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস ও এনায়েতপুর থানার ওসি মোল্লাহ মাসুদ সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত যমুনা নদীর চৌহালীর আজিমুদ্দিন মোড়, ঘুষুরিয়া ও স্থল ইউনিয়নের চালুহারা থেকে ভেসে ওঠা চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশগুলো পাড়ে নিয়ে আসা হয়। এদের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি মানিকগঞ্জের সিংরাইল থানার গোবিনহারা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে আলোক মিয়া (৩০)।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তবে, ডুবুরি দলের কেউই গত দু’দিনে কোনও লাশ উদ্ধার করতে পারেননি। ৯টি লাশই উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা এবং নিহতের স্বজনরা। নৌকা ডুবির পর স্থানীয়রাই জীবিত ৫৭ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।

জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ জানান, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন জেলার ক্ষয়রাতি তহবিল থেকে নিহতের পরিবারের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দিতে চৌহালী ও বেলকুচির ইউএনও-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌকাডুবিতে জেলার বাইরের কেউ মারা গেলে সে জেলার ডিসিদের একই ধরনের উদ্দ্যোগ নিতে অনুরোধ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৬ মে) এনায়েতপুর থেকে ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি চৌহালীর দিকে যাচ্ছিল। নৌকাটি স্থলচর এলাকায় পৌঁছলে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে ওই দিনই ঘটনাস্থল থেকে শিশুসহ দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে আরও তিনটি লাশ উদ্ধার হয়। ওই দিন জীবিত অবস্থায় ৫৭ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এ দুর্ঘটনায় বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছেন সাত জন যাত্রী। যাত্রীদের অধিকাংশই ধানকাটা শ্রমিক।