জানা গেছে, মুন্নুজান ছাত্রী নিবাসে সরকারি আজিজুল হক কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী এবং কর্মজীবী মিলে তিন শতাধিক নারী থাকেন। হোস্টেল সুপার হাফিজা বেগমকে বাকি তিন মাসের ভাড়া দিতে না পারায় ১৩ জন ছাত্রীকে অবরুদ্ধ করা হয়। পরে মালিক আবদুল্লাহেল কাফীর সঙ্গে কথা বললে তিনি দুই মাসের ভাড়া নিয়ে ছাত্রীদের ছেড়ে দিতে বলেন।
আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান শেষ বর্ষের ছাত্রী বগুড়ার শিবগঞ্জের মোছা. রুমা বলেন, 'আজ আমার রুমে গিয়ে দেখি, সব জিনিসপত্র তছনছ করা। জামা কাপড়সহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। আশপাশের অন্য ছাত্রীদের রুমেরও একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে আমরা বাড়ি যেতে চাইলে হোস্টেল সুপার তিন মাসের ভাড়া পরিশোধ করে যেতে বলেন।'
এইচএসসি পরীক্ষার্থী সিরাজগঞ্জের দ্বীপান্বিতা বলেন, 'করোনা সংক্রমণ শুরু হলে আমি বাড়ি চলে যাই। আজ বইপত্র নিতে আসি। কিন্তু তিন মাসের ভাড়া না দিলে আমাকে বের হতে দেওয়া হবে না বলে জানান হোস্টেল সুপার।'
কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের মাস্টার্স শেষ পর্বের ছাত্রী সিরাজগঞ্জের রিফাত জাহান বলেন, 'তিন মাসের ভাড়া দিতে না পারায় আমাকে বাড়ি যেতে বাধা দেওয়া হয়; ভ্যানিটি ব্যাগ তল্লাসি করা হয়।'
খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মী ও স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে আসেন।এসআই জানান, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার কাছে টাকা আছে তিনি দেবেন; আর যার নেই তিনি পরে এসে দেবেন। ছাত্রীরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ফিরে গেছেন। পরে ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এ বিষয়ে হোস্টেল সুপার হাফিজা বেগম বলেন, 'এপ্রিল থেকে তিন মাসের ভাড়া চাওয়া হয়েছে। কিন্তু, ছাত্রীরা দিতে রাজি হননি। পরে মালিক দুই মাসের ভাড়া নিয়ে ছাত্রীদের ছেড়ে দিতে বলেন। তাদের কাছে শুধু ভাড়া চাওয়া হয়েছিল; অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়নি।'