এই পরিস্থিতিতে ওই স্থানের প্রায় ৫০টি বসতবাড়ি নদীতে বিলীনের আশঙ্কায় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বাঁধসংলগ্ন আরও কয়েকশ' পরিবার। আতঙ্কে বাড়িঘর দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে তারা।
ছোনগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল আলমসহ স্থানীয়রা জানান, ধস অব্যাহত থাকায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন নদী পাড়ের মানুষজন। ধস ঠেকাতে গতানুগতিক বালির বস্তা ফেলছে পাউবো।
২০০০-২০০১ অর্থ বছরে ভাঙন রোধে শিমলা এলাকায় স্পার বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। এরপর বেশ কয়েকবার এটি সংস্কারও করা হয়েছে। এ বছরের ৩০ মে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে স্পার বাঁধের স্যাংক (স্পারের মাটির অংশ) প্রায় ২১ মিটার ধসে গিয়েছিল। সেখানে বালির জিওব্যাগ দিয়ে সংস্কার করা হয়। এ অবস্থায় বুধবার রাতে পূর্বের সংস্কার করা স্থানসহ ৭০ মিটার বাঁধ ধসে যায়।
পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, ধসে যাওয়া স্থানে জিওব্যাগ ফেলে সংস্কারের উদ্দ্যোগ নিয়েছি।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, 'বর্তমানে জরুরি প্রতিরক্ষার কাজ চললেও আগামী শুস্ক মৌশুমে মূল প্রতিরক্ষসহ বাঁধটি পুনরায় জোড়া লাগানোর চেষ্টা করা হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সরকার অসীম কুমার জানান, বাঁধ ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ছয় সেন্টিমিটার কমে বিপদ সীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। কাজিপুর উপজেলা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগাম পানি কমার আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।