খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তরে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা। বগুড়া-আক্কেলপুর ভায়া দুপচাঁচিয়া সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বগুড়া থেকে বিপুল সংখ্যক বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন আক্কেলপুর হয়ে জয়পুরহাট জেলা সদর ও দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দরে যাতায়াত করে। সড়কের পাশে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদাম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। খাদ্য গুদামে নিয়মিত ধান, চাল ও গম বোঝাই ট্রাক চলাচল করে। এছাড়াও এই সড়কের পাশেই আক্কেলপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গোপিনাথপুর মেলা বসে। জিয়ানগর, গুনাহার ও চামরুল ইউনিয়নের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ ওই সড়ক দিয়েই দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর ও বগুড়া শহরে যাতায়াত করেন।
গত প্রায় ছয় বছর সড়কটি সংস্কার হয়নি। ফলে দুপচাঁচিয়া থেকে জিয়ানগর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। এতে ছোট বড় অসংখ্যগর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো পানি ও কাদায় ভরে থাকে। গর্তে পড়ে যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাঝে মাঝে গর্তে পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পথচারীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
দুপচাঁচিয়া মাস্টারপাড়ার রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী মেশকাতুর রহমান জানান, উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে থাকছে। পুরো রাস্তায় পানি আর কাদা থাকায় পৌরবাসীকে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এতে জনগণের মাঝে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছরের ১১ অক্টোবর একনেকে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের গোপিনাথপুর থেকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া হয়ে নন্দীগ্রামের ওমরপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪৬ কিলোমিটার সড়ক ১৮ ফুট প্রশস্ত ও মজবুতকরণে প্রায় ১২৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। গত ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আনুষ্ঠানিকভাবে কাজের উদ্বোধন করেন। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও কাজের তেমন অগ্রগতি নেই। ধীর গতিতে কাজ চলায় দুপচাঁচিয়া থেকে জিয়ানগর সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম জানান, সড়কটির নির্মাণ কাজ চলছে। ঠিকাদার ইতোমধ্যে জিয়ানগর থেকে গোপিনাথপুর পর্যন্ত কাজ বাস্তবায়ন করছেন। আগামী দুই তিন সপ্তাহের মধ্যেই জিয়ানগর থেকে দুপচাঁচিয়া পর্যন্ত কাজ শুরু হবে। তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও পাথর স্বল্পতায় প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ঘটছে।