পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের একটি সুত্র থেকে জানা গেছে, জেলায় ছোট বড় মিলে মোট ২ হাজার ৭৩৫টি পোলট্রি খামার আছে। এসব খামারে ব্রয়লার এবং লেয়ার মুরগি পালন করা হয়। ব্যবসা মন্দা থাকায় প্রায় ১ হাজার ৪৫৫ টি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। খামারগুলো টিকিয়ে রাখতে প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে করোনার প্রভাবে পোলট্রি খামারিরা পড়েছেন মহাবিপদে। খামার ব্যবসা ও প্রাণীজ প্রোটিনের উৎপাদন টিকিয়ে রাখতে সরকারের ভর্তুকি বা বিশেষ প্রণোদনার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তারা।
তিনি আরও জানান, খামার পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। অথচ প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১০০ টাকার ওপরে। লোকসানের শিকার হয়ে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন খামারিরা। এভাবে চলতে থাকলে শীঘ্রই দেখা দিতে পারে প্রাণীজ প্রোটিনের ঘাটতি।
পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অন্য জেলার চেয়ে পাবনায় খামারের সংখ্যা অনেক বেশি। সে মোতাবেক এই সংকটময় সময়ে খামারিদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থাসহ সবার প্রচেষ্টায় পোলট্রি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সার্বিক চেষ্টা চলছে।