পুলিশ ও স্বজনরা জানান, নিহত আকমল হোসেন বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের বানদীঘি পূর্বপাড়ার মৃত মকবুল সরদারের ছেলে। ২০১৭ সালে ওই গ্রামে ওয়াহেদ আলী নামে এক ব্যক্তি খুন হন। আকমল ওই হত্যা মামলার চার নম্বর আসামি। ঘটনার পর তিনি গ্রাম ছেড়ে পরিবার নিয়ে বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় বসবাস করতেন। আকমল হোসেন বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া জজ কোর্টে ওই হত্যা মামলায় হাজিরা দেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে তার সন্ধান পাননি। সন্ধ্যার দিকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোথায় তা বলেননি। রাত ১০টার দিকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটকড়ই বাজার এলাকায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের আত্মীয় আপেল মাহমুদ বলেন, ‘আকমলের হাটকড়ই বাজারে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। ওয়াহেদ হত্যা মামলার বাদীপক্ষের লোকজন তাকে অপহরণ করে নন্দীগ্রামে নিয়ে হত্যা করেছে। তার ঘাড়ে ও দুই পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
স্ত্রী রিমা আকতার দাবি করেন, তার স্বামীর সঙ্গে একই গ্রামের হিরু ও সোহাগের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। তাদের মধ্যে হত্যা ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের পাল্টাপাল্টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, হিরু ও সোহাগ মামলা আপসের নামে তাকে আদালত এলাকা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর নন্দীগ্রামে নিয়ে হত্যা করেছে।
ওসি শওকত কবির জানান, তিনি শুনেছেন আকমল হোসেন স্ট্রোকে মারা গেছেন। মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়া মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে এটি হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত এ ব্যাপারে মামলা হয়নি।