শিক্ষা কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন

1বগুড়ার কাহালু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, শিক্ষকদের হয়রানি করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। ২৫০ জন শিক্ষক বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে শিক্ষা অফিসের সামনে
মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাছুদুর রহমানের কাছে অভিযোগ করেন তারা। শিক্ষকরা বলেন, কাহালু উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের জন্য ছয় ক্যাটাগরিতে সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে ১১৪ স্কুলে স্লিপের ৬২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ৫ স্কুলের প্লেইন এক্সেসাইজের ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১৯ স্কুলের মেরামত বাবদ রাজস্ব খাতের ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১১৪ স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক শিশু শ্রেণীর ঘর সাজানো বাবদ ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৪১ স্কুলে পিইডিপি-৪ প্রকল্পের ৮২ লাখ টাকা, ৬৩ স্কুলে রুটিন মেইনটেন্যান্সের ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু কাজ করেও বরাদ্দের টাকা না পাওয়ায় শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়।
শিক্ষকরা বলেন, অনেক স্থানে কাজ না করেও অর্থ ছাড় দেওয়া হয়। অথচ আমাদের অর্থ ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। দিনের পর দিন হয়রানি করা হচ্ছে। কয়েকজন শিক্ষিকা অভিযোগ করেন, শিক্ষা কর্মকর্তা অযৌক্তিকভাবে তাদের মানসিক চাপে রাখেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কাহালু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, যেখানে সন্তোষজনক কাজ হয়েছে, সেখানে অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আনিত শিক্ষকদের অভিযোগের বিষয়গুলো তিনি এড়িয়ে যান।