লাভের আশায় চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম

শিম ক্ষেত


সবুজ পাতার মধ্যে লকলক করছে শিমের শীষ। আর শীষে ধরে আছে বেগুনি ও হালকা সাদা রঙের ফুল। কিছু কিছু শীষে উঁকি দিচ্ছে শিম। এরই মধ্যে নওগাঁর বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের নতুন শিম। দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন, শিমের পোকা দমন করতে গিয়ে লাভের একটি অংশ চলে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে। আগাম জাতের শিমের মধ্যে কার্তিকা, কাজলা ও চালতা নামে পরিচিত।
সদর উপজেলা বক্তারপুর ইউনিয়নের চাষি সুলতান আলম বলেন, তিনি ৫ কাঠা জমিতে আগাম শিমের আবাদ করেছেন। এ পরিমাণ জমিতে শিমের আবাদ করতে তার প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে শিম তোলা শুরু করবো। প্রথম দিকে সাড়ে তিন থেক চার হাজার টাকা মণ বিক্রি হয়। যখন শিম ওঠা শুরু হয় তখন দাম একটু কম হয়। তারপরও সর্বনিম্ন ৪০০-৫০০ টাকা মণ বিক্রি হয়। প্রতি সপ্তাহে একমণ করে শিম উঠবে। সে হিসাবে মাসে চার মণ। আর দাম পাওয়া যাবে প্রায় ১২-১৫ হাজার টাকা।

শিম ক্ষেত
কীর্ত্তিপুর গ্রামের খায়রুল আলম বলেন, সাত দিন আগে ক্ষেত থেকে পাঁচকেজি শিম তুলেছেন। পাইকারি বিক্রি করেছেন ১২০ টাকা কেজি। বাজারে শিমের পরিমাণ সরবরাহ কম হওয়ায় দামও তুলনামূলক বেশি। ভালো দামের আশায় আগাম জাতের শিমের আবাদ করা হয়।
নওগাঁ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মফিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বর্ষাইল, র্কীত্তিপুর ও বক্তারপুর ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণ সবজির আবাদ হয়ে থাকে। ধানের পরিবর্তে তারা বেশি লাভের আশায় সবজির আবাদ করে থাকেন। আগাম শিমের আবাদ করায় কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।