বগুড়ায় ৮ দ্বৈত ভোটারের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়াবগুড়ার তিন উপজেলার আট দ্বৈত ভোটারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) নিজ নিজ এলাকার থানায় ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ অনুযায়ী ফৌজদারি মামলা করেছেন। জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ্ এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, নির্বাচন অফিসের এজাহার পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়নি।

বগুড়া নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন রাজশাহী বিভাগে ৬১ জনসহ সারা দেশে প্রায় দুই লাখ দ্বৈত ভোটার শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে বগুড়া সদরে ছয় জন এবং শিবগঞ্জ ও শেরপুর উপজেলায় একজন করে। নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব মোশাররফ হোসেনের ১৩ অক্টোবর স্বাক্ষরিত পত্রে একাধিকবার ভোটার হওয়ায় ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ অনুসারে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ দেন।

এর প্রেক্ষিতে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন সদর থানায় ছয় জনের বিরুদ্ধে, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান শিবগঞ্জ থানায় একজনের বিরুদ্ধে এবং শেরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন শেরপুর থানায় একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, বগুড়া শহরের সুত্রাপুরের আরিফাতুল জান্নাতসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা পেয়েছেন। পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে মামলাটি রেকর্ড করবেন।

আরিফাতুল জান্নাত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে বগুড়ার ঠিকানায় ভোটার হন। পরবর্তীতে স্বামীর কর্মস্থল চট্টগ্রামে ভুলবশত দ্বিতীয়বার ভোটার হয়েছেন। এ ব্যাপারে আদালতে ভুল স্বীকার করে এফিডেভিট করেন। বর্তমানে তিনি দ্বৈত ভোটার নন।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের ছাতরা গ্রামের আবদুল মতিনের স্ত্রী মোছা. শিউলী আকতার ২০১২ সালে ছবিসহ ভোটার হন। তিনি ২০১৪ সালে তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করেন। আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে।

শেরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন জানান, উপজেলার উলিপুর গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের স্ত্রী আয়েশা খাতুন প্রথমে রাজশাহীর পবা উপজেলায় ভোটার হন। এরপর তিনি বগুড়া শেরপুর উপজেলার উলিপুর থেকে দ্বিতীয়বার ভোটার হয়েছেন। তাই তার বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।