বগুড়া শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে উত্তেজিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর ধাওয়ার মুখে পড়েন জেলা সদর আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য (এমপি) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও তার নেতাকর্মীরা। রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে শহরের শহীদ খোকন পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ধাওয়া খেয়ে নেতারা পাশেই পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের নেতৃত্বে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ খোকন পার্কের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি (এমপি) নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নবাববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ে ফিরছিলেন। পার্কের প্রধান ফটকে পৌঁছালে শহীদ মিনারে অবস্থানরত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার আখ্যায়িত করে স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে তারা এমপি সিরাজকে ধাওয়া করেন। এ সময় তিনি বিএনপি নেতা আলী আজগর তালুকদার হেনা, এমআর ইসলাম স্বাধীন, তাহাউদ্দিন নাইন, খাদেমুল ইসলাম, সৌরভ প্রমুখ নেতাদের নিয়ে দৌড়ে পাশে পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন। সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ছাত্রলীগ নেতাদের থামান। পরে পুলিশ বিএনপি নেতাদের দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়। পুলিশ বেষ্টনির মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। অন্যদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও টেম্পল রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
লীগকে সকাল ৮টায় সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সঠিক সময়ে আসেননি। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানানোর সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনার থেকে চলে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় জানান,
নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে দলীয় স্লোগা দিচ্ছিলেন। এ সময় রাজাকারের সন্তান এমপি সিরাজের উপস্থিতিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী কটূক্তিমূলক পাল্টা স্লোগান দেন। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে এমপি ও নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া করেন। তখন নেতাকর্মীরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।