বগুড়ার মেয়র হলেন বিএনপির বাদশা

বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম বাদশা বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন, ৮২ হাজার ২১৭ ভোট। তার নিকটতম ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী (জগ) আবদুল মান্নান আকন্দ। তিনি পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৯০ ভোট। আর ২০ হাজার ৮৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু ওবায়দুল হাসান ববি। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) প্রার্থী মাওলানা আবদুল মতিন পেয়েছেন ছয় হাজার ১৯১ ভোট।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচন অফিস ও ডিএসবি অফিস সূত্র জানায়, বগুড়া পৌরসভার ২১ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ ৮টি, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) দুটি, বিএনপি ৭টি, স্বতন্ত্র (বিএনপি) দুটি ও জামায়াত দুটিতে জয় পেয়েছে।

নির্বাচিত সাধারণ কাউন্সিলররা হলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডে শাহ্ মো. মেহেদী হাসান হিমু (বিএনপি), ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৌহিদুল ইসলাম বিটু (বিএনপি), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কবিরাজ তরুণ কুমার চক্রবর্তী (আওয়ামী লীগ), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আবদুল মতিন সরকার (স্বতন্ত্র, আওয়ামী লীগ), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে রেজাউল করিম ডাবলু (আওয়ামী লীগ), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পরিমল চন্দ্র দাস (বিএনপি), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে
দেলোয়ার হোসেন পশারী হিরু (বিএনপি), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এরশাদুল বারী এরশাদ (জামায়াত), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আলহাজ শেখ (আওয়ামী লীগ), ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আরিফুর রহমান (আওয়ামী লীগ), ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সিপার আল বখতিয়ার (বিএনপি), ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এনামুল হক সুমন (বিএনপি), ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আল-মামুন (আওয়ামী লীগ), ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আমিনুল ইসলাম (স্বতন্ত্র, আওয়ামী লীগ), ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আমিন আল মেহেদী (আওয়ামী লীগ), ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইকবাল হোসেন রাজু (বিএনপি), ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রাজু হোসেন পাইকার (স্বতন্ত্র, বিএনপি), ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে লুৎফর রহমান মিন্টু (আওয়ামী লীগ), ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ইমান হোসেন সরকার সাজু (স্বতন্ত্র বিএনপি) ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে রুহুল কুদ্দুস ডিলু (জামায়াত)।

এছাড়া সাতটি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচিতরা হলেন, ১ নম্বরে জোবাইদা বেগম, ২ নম্বরে ফারুক সাখিনা শিখা, ৩ নম্বরে হোসনে আরা হাসি, ৪ নম্বরে শিরিন আকতার, ৫ নম্বরে শাহিনুর শানু, ৬ নম্বরে মুক্তি বেগম এবং ৭ নম্বরে মঞ্জুয়ারা খাতুন।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম রাত সাড়ে ৯টায় জানান, বগুড়া পৌরসভার ১১৩ কেন্দ্রে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ করা হয়। অর্ধেক কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হলেও প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতায় উল্লেখযোগ্য অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পৌরসভার মেয়র পদে চারজন, ২১ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩০ জন ও সাতটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পৌরসভার মোট ভোটার দুই লাখ ৭৫ হাজার ৮৭০ জন। ভোট পড়েছে, এক লাখ ৬৪ হাজার ৫৮৭। ভোট সংগ্রহের হার ৫৯.৮৫ শতাংশ।