প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র!

মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা নগদ অ্যাপসে পাঠানো প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায়। গত দু’দিন উপজেলার গজারমারা প্রাথমিক, বোয়ালিয়া প্রাথমিক, মেন্দা খালপাট, পারভাঙ্গুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের কাছ থেকে একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিভাবকরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গুরার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম রেজা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম রেজা জানান, প্রতারক চক্রটি শিক্ষক পরিচয়ে প্রতারণা করায় স্বাভাবিকভাবে অভিভাবকরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং অভিভাবকদের এই বিষয়ে সচেতন করতে কাজ শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) এ বিষয়ে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে, সেখানে শিক্ষকদের নিজ নিজ এলাকার অভিভাবকদের এই বিষয়ে সচেতন করার নির্দেশ দেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আওতায় থাকা ১২ হাজার ছয়শত ছিয়াশি জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা নগদের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এরপর যাদের মোবাইলে নগদ অ্যাপ ছিল না বা চালু ছিল না শিক্ষকেরা তাদেরকে নগদ চালুর করার নিয়ম শিখিয়ে দেন। এরই সুযোগ নেয় একটি প্রতারক চক্র। তারা অভিভাবকদের ফোনে শিক্ষক পরিচয়ে ফোন করে। তাদেরকে জানানো হয়, উপবৃত্তির টাকা নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কম পাঠানা হয়েছে। বাকি টাকা সমন্বয় করা হবে বলে কৌশলে প্রতারক চক্রটি অভিভাবকদের পিন নম্বর জেনে নিয়ে ধাপে ধাপে নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাগুলো ট্রান্সফার করে নেয়। অভিভাকেরা টাকা তুলতে নগদ এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে বুঝতে পারেন তাদের টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ পর্যন্ত প্রায় ৯ জন অভিভাবক প্রতারিত হওয়ার খোঁজ পাওয়া গেছে।