দুই দফা দাবিতে রাবির প্রশাসন ভবনে তালা, কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি

দুই দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সহায়ক, সাধারণ ও পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতির সদস্যরা। সোমবার (২৯ মার্চ) সকাল আটটা থেকে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।

তাদের দাবিগুলো হলো কর্মচারীদের করপোরেট লোনের সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা এবং হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আনসারীকে অন্যত্র বদলি করা।

সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি সাব্বির হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকতা-কর্মচারীদের করপোরেট লোন দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে এই লোনের সুদের হার ৯ শতাংশ। আমরা সুদের হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। উপাচার্য আমাদের মৌখিক আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা কার্যকর করার জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

সাব্বির হোসেন বলেন, উপাচার্য সর্বশেষ সাত দিনের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, আমরা সাত দিনের মধ্যে এর কোনও প্রতিফলন দেখিনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।

হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আনসারীকে দুর্নীতিগ্রস্ত উল্লেখ করে তাকে অন্যত্র বদলির দাবি জানান সাধারণ কর্মচারী ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, কর্মচারীরা লোনের বিষয় কথা বলতে গেলে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকতা আনসারী সাহেব তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আনসারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কথা বলবেন না বলে জানান।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক দাবি। করপোরেট লোন নেওয়ার সময় অর্থ মন্ত্রণালয়, ব্যাংক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক সঙ্গে চুক্তি করেছে। এখন তারা যে সুদের হার কমানোর দাবি করছে এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এককভাবে কিছু করার নেই। তারা যদি মনে করে সুদের হার কমানো সম্ভব তবে তারা ব্যাংকের এমডি বা চেয়ারম্যান এর কাছে আবেদন করুক।

তিনি আরও বলেন, কর্মচারীদের ছয় জনের একটি প্রতিনিধি দল কাল বা পরশু আমার সঙ্গে দেখা করবে বলে জানায়। আমি গতকাল সাড়ে সাতটায় সময় দিয়েছিলাম, তারা কেউ আসেনি। তারা কোথাও থেকে প্ররোচিত হয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ আন্দোলন করছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন উপাচার্য।