কাজ দেওয়ার কথা বলে গৃহকর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

বগুড়ার শেরপুরে এক গৃহকর্মীকে কাজ দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে চারজন সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বাগড়া হঠাৎপাড়া এলাকার একটি পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে জনগণ তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের শেরপুর থানা পুলিশে দেওয়া হয়।

গ্রেফতার তিনজন হলেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাগড়া হঠাৎপাড়ার আবদুস সামাদের ছেলে মামুন প্রামাণিক (৩৫), একই এলাকার আবুল শেখের ছেলে আবদুল খালেক (৫০) ও উত্তর সাহাপাড়ার সাইফুল সরকারের ছেলে সোহাগ সরকার (২২)।

পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের চিতুলিয়া গ্রামের এক তরুণী (২৫) কাজের সন্ধানে বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ি থেকে শেরপুর উপজেলার ধুনট মোড়ে যান। বিভিন্ন এলাকায় কাজের খোঁজ করে ব্যর্থ হয়ে রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার জন্য ধুনট মোড়ে আসেন। সেখানে সিএনজি অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করাকালে মামুন প্রামাণিক, সোহাগ সরকার ও আবদুল খালেক তার কাছে আসেন। তারা বাগড়া হঠাৎপাড়ায় একটি বাসায় কাজের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হন। পরে সোহাগ সরকারের সঙ্গে রিকশায় বাগড়া হঠাৎপাড়ায় যান। রাত ৯টার দিকে সেখানে পৌঁছার পর তাকে ফুসলিয়ে একটি পুকুর পাড়ে নেওয়া হয়। সেখানে এরা তিনজন ছাড়াও শেরপুরের বাগড়া চকপোতা গ্রামের দুলু শেখ (৩২) ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালানো চেষ্টা করেন। তখন দুলু শেখ পালিয়ে গেলেও জনগণ অপর তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হন। থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ভিকটিমকে উদ্ধার ও ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী রাতেই শেরপুর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তিনজন ওই নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতার মামুন প্রামাণিক, সোহাগ সরকার ও আবদুল খালেকের স্বীকারোক্তি রেকর্ডের জন্য শুক্রবার বিকালে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া অপর আসামিকে গ্রেফতারে তৎপরতা চলছে।