সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফিরলেন ২৪ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ স্থলবন্দর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে আটকে পড়া ২৪ জন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী দেশে ফিরেছেন। বুধবার (১৯ মে) দুপুর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তারা দেশে প্রবেশ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা জাফর ইকবাল ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী।

ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা জাফর ইকবাল জানান, দুপুর প্রায় ১২টার দিকে হঠাৎ করেই ভারতীয় ইমিগ্রেন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে আজ আটকে পড়া বাংলাদেশি যাত্রীদের তারা দেশে ফেরত পাঠাবেন। সেই অনুযায়ী দুপুর ২টার দিকে আটকে পড়া যাত্রীরা দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেন। যাত্রীদের এনওসি পরীক্ষা এবং ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে, জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, ‘ভারত থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ভারত থেকে আসা সব যাত্রীকে নির্ধারিত হোটেলে রাখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়া করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলে তাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হবে।’ তবে ভারত থেকে আগত যাত্রীদের থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় খরচ নিজেদেরই বহন করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, ‘আজ প্রথমদিন যাত্রীদের শুধু স্ক্রিনিং শেষে জেলা সদরের একটি হোটেলে সাত জন, শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ডাক বাংলোয় ১৪ জন এবং জেলা সদর হাসপাতালে তিন জনকে (একজন শিশু ও তার বাবা-মা। শিশুটির বোন ক্যানসার হওয়ায় তার ড্রেসিংয়ের নিয়মিত প্রয়োজন হওয়ায় মানবিক কারণে তাদের হাসপাতালে রাখা হয়েছে) প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।’

সিভিল সার্জন বাংলা ট্রিবিউনকে আরও জানান, আটকে পড়া ২৪ জন যাত্রীরই করোনা উপসর্গ না থাকায় ১৩ দিন পর তাদের টেস্ট শেষে রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে ছেড়ে দেওয়া হবে। কারও উপসর্গ পাওয়া গেলে বা পজিটিভ হলে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হবে এবং চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।’

অপরদিকে, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বী জানান, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা যাত্রীদের পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া তাদের মাধ্যমে যাতে কোনও ধরনের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি না হয় সে বিষয়েও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।