রাজশাহীতে ‘কঠোর লকডাউনের’ দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি

রাজশাহীতে হু হু করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। এমন পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রাজশাহীতে ‘কঠোর লকডাউন’ দেওয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের রাজশাহীর নেতৃবৃন্দ।

শনিবার (৫ জুন) বিকাল ৫টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি জমা দেন জোটের স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

রাজশাহীর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত একমাসে রাজশাহীজুড়ে করোনা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। মৃত্যু ও সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড ছাড়াচ্ছে। রামেক হাসপাতালের সূত্র অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আট জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। রামেক হাসপাতাল তার পরিধি অনুযায়ী করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছে।

করোনা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের আরোপিত বিধিনিষেধ ‘পর্যাপ্ত নয়’ উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, মৃত্যু ও সংক্রমণের উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে গত ২ জুন স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে যে ‘বিধিনিষেধ’ আরোপ করা হয়েছে তা বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী পর্যাপ্ত নয়। মানুষের জীবন রক্ষা করতে হলে এবং করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই মুহূর্তে বিকল্প পদ্ধতি হলো কঠোর লকডাউন।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, আমরা ১৪ দল মনে করি, সর্বশেষ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভা থেকে করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে যে সুপারিশগুলো করা হয়েছিল, তা গুরুত্ব দিয়ে আমলে নিয়ে এবং নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রাজশাহীতে কঠোর লকডাউনের বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, মহানগর জাসদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, বাংলাদেশ জাসদের মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, জাসদের মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক বাবু, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন, মনির উদ্দিন পান্না, মহানগর সদস্য সীতানাথ বণিক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক বলেন, ‘রবিবার (৬ জুন) বেলা ৩টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের মিটিং আছে। করোনা প্রতিরোধসহ সব বিষয়ে আলোচনা হবে।’