রাবিতে অ্যাডহকে নিয়োগ পাওয়াদের বাধায় সভা স্থগিত

কর্মস্থলে পদায়নের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসন ভবন ও উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়েছেন সদস্য বিদায়ী উপাচার্যের মাধ্যমে ‘অবৈধভাবে’ অ্যাডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তাদের বাধায় ফাইন্যান্স কমিটির (এফসি) সভা ও সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (১৯ জুন) সকালে উপাচার্যের বাসভবনে এফসির এবং আগামী ২২ জুন সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছিল।

সভা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক লিয়াকত আলী বলেন, ‘অনিবার্য কারণবশত ফাইন্যান্স কমিটির সভা ও সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করা হয়েছে।’

এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন ও উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে সেখানে অবস্থান নেন অ্যাডহকে নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।  পরে সোয়া ১০টার দিকে তারা উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) আনন্দ কুমার সাহার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ভাষ্য, রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য আশ্বাস দিয়েছিলেন তাদের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ার আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সভাগুলো করবেন না। তাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনও সভা হতে দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও অ্যাডহকে নিয়োগ পাওয়া ফারদিন ইসলাম বলেন, ‘আমরা যোগদান করতে গেলে রুটিন  দায়িত্বে থাকা উপাচার্য  বলেছিলেন, এটি মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। সেখান থেকে নির্দেশনা পেলে যোগদান করাতে কোনও আপত্তি নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য অ্যাডহকে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে ফাইন্যান্স কমিটি ও সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করেছেন। তাই আমরা প্রশাসন ভবন ও তার বাসভবনে তালা ঝুলিয়েছি।  পরে বাসভবনে গেলে তিনি সভা স্থগিত করেন।’ তবে কবে তালা খুলে দেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘অনিবার্য কারণবশত আমাদের এফসি ও সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করা হয়েছে।’

নিয়োগপ্রাপ্তদের তালা লাগানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি আছে, বিষয়টি মন্ত্রণালয় দেখছে। এ অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছাড়া তাদের যোগদান করানোর ক্ষমতা আমার নেই।’

প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য বিদায়ী উপাচার্য তার শেষ কর্মদিবসে গত ৬ মে ১৩৮ জনকে অ্যাডহকে নিয়োগ দেন। এই নিয়োগকে ইতোমধ্যে অবৈধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কর্মস্থলের পদায়নের দাবিতে বেশ কিছুদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছেন।