রাজশাহী মেডিক্যালে ২৭ দিনে তিনশ’র বেশি মৃত্যু

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৬ জুন) সকাল ৮টা থেকে রবিবার (২৭ জুন) সকাল ৮টার মধ্যে বিভিন্ন সময় মারা যাওয়াদের মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে চলতি মাসে (১ জুন সকাল থেকে ২৭ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৩০১ জনের মৃত্যু হলো। গত ২৪ জুন সর্বোচ্চ ১৮ জন এবং সবচেয়ে কম চার জন মারা যান গত ১২ জুন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর চার জন, চাঁপাইনবাগঞ্জের দুই জন ও নাটোরের চার জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সাত জন পুরুষ ও তিন জন নারী। এদের মধ্যে চার জনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, একজন মহিলা। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুই জন নারী, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের তিন জন পুরুষ রয়েছেন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক আরও জানান, হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে মৃত্যুহার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৭, মার্চে ৩১, এপ্রিলে ৭৯ ও মে মাসে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। আর গত বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল আগস্ট মাসে ২৬ জন।

শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৫ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চার, নাটোরের পাঁচ, নওগাঁর দুই. পাবনার ছয় ও দিনাজপুরের একজন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫৫ জন। আর রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৩৫৭ বেডের বিপরীতে করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগী আছেন ৪৩৪ জন। যা আগের দিন ছিল ৪৩১। অতিরিক্ত রোগীদের মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে রাজশাহীর ২৯১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪৪ জন, নাটোরের ৩৭ জন, নওগাঁর ৩৫ জন, পাবনার ২২ জন, কুষ্টিয়ার তিন জন, দিনাজপুর ও ঢাকার একজন করে রোগী রয়েছেন। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ২০ জন।

পরিচালক শামীম ইয়াজদানী বলেন, রোগীদের চাপ সামলাতে করোনা ওয়ার্ড বাড়ানো হয়েছে। ১৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে অক্সিজেন লাইন বসিয়ে সিটি করোনা ওয়ার্ডে রুপান্তর করা হয়েছে। রবিবার থেকেই সেখানে করোনা রোগী রাখা হবে।