বগুড়া সদরের নিশিন্দারা ইউনিয়নের দশটিকা দক্ষিণপাড়ার দীঘির পাড়ে গৃহহীনদের জন্য নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ২০টি ঘরে ফাটল ধরেছে। সেগুলোর মধ্যে সাতটি ভেঙে পুনরায় নির্মাণ করা হচ্ছে। সোমবার (২৬ জুলাই) বিকালে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, এসব ঘর নির্মাণের ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। তবে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার লাল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নতুন করে মাটি তুলে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। এজন্য পেছনের অংশে ফাটল ধরে।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় নিশিন্দারা ইউনিয়নের দশটিকা দক্ষিণপাড়ায় দীঘিরপাড়ে খাস জমিতে ৫৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়। বরাদ্দ দেওয়া না হলেও তালিকায় নাম থাকা ভূমি ও গৃহহীনরা সেখানে বসবাস শুরু করেন। গত ঈদুল ফিতরের পর থেকে ঘরগুলোতে ফাটল দেখা দেয়। কিছু দিন পর পূর্ব পাশের সাতটি ঘরের পেছনে বাথরুম ও রান্নাঘরের দেয়াল হেলে পড়ে। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান পরিদর্শন শেষে সাতটি ঘর ভেঙে ফেলেন ও পুনরায় নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিচু স্থানে মাটি ভরাটের পর তড়িঘড়ি ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। ফলে কমপক্ষে ২০টি ঘরে ফাটল দেখা দেয়। এরমধ্যে বেশি হেলে পড়া সাতটি ঘর ভেঙে ফেলা হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, স্থান নির্ধারণে ভুল হওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে।
নিশিন্দারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার লাল মিয়া জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়। ঘরগুলো এখনও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এরপরও তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিরা ঘরগুলোতে উঠে পড়েন। গত রোজার ঈদের সময় বৃষ্টিতে সাতটি ঘরের পেছনের অংশ ধসে যায়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যরা পরিদর্শন করে সাতটি ঘর ভেঙে ফেলেছেন। সেখানে গত রবিবার থেকে ইট ফেলা শুরু হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ফোন বন্ধ রাখায় এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।