যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে পানি ধীরে ধীরে আরও কমবে। এদিকে যমুনার পানি কমলেও অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও চলনবিলের পানি প্রায় আগের অবস্থাতেই রয়েছে। এ কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় লাখো মানুষ, তলিয়ে গেছে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদফতরের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য জেলা শহর ও পাঁচটি উপজেলার মজুত বাড়িয়ে ৭২১ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে সাত লাখ নগদ টাকা করা হয়েছে। এর মধ্যে নদীভাঙন ও নিম্নাঞ্চল এলাকায় শুরু করা হয়েছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম।
পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন হলো যমুনায় পানিবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার কমেছে।
জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সদর ও শাহজাদপুরের কিছু এলাকায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছি। জেলার পাঁচ উপজেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল ও এক লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলায় ৭২১ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা মজুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও আমরা নিয়মিত বন্যা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ রাখছি।