ধানক্ষেতে মিললো নারী ইউপি সদস্যের লাশ

বগুড়ার ধুনটে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর রেশমা খাতুন (৩৮) নামে এক ইউপি সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কুড়িগাতি গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি নিখোঁজ থাকলেও স্বজনরা থানায় কোনও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা অভিযোগ করেননি। লাশ উদ্ধারের পর তার ভাই ধুনট থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। 

রেশমা খাতুন বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর সংরক্ষিত আসনের (৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড) সদস্য।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, লাশ উদ্ধার করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুরৈ রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত চলছে।

মথুরাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ সেলিম জানান, বুধবার বিকালে কুড়িগাতি গ্রামের লোকজন জমির ধারে ঘাস কাটতে যান। এ সময় ধানক্ষেতের ভেতরে একজন নারীর দেখেন তিনি। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

রেশমা খাতুনের স্বামী ফরিদুল ইসলাম জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী শেরপুর যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। সন্ধ্যার পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি ও সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে এ
ব্যাপারে গত কয়েকদিনে থানায় কোনও জিডি বা অভিযোগ দেননি ফরিদুল। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে রেশমা খাতুনের লাশ শনাক্ত করেছেন।

ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, লাশে পচন ধরায় তাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। 

তিনি আরও জানান, ইউপি সদস্য রেমশা খাতুন গত ৪-৫ দিন নিখোঁজ থাকলেও স্বামী বা পরিবার থেকে কেউ থানায় জিডি করেননি।