হাসপাতালে অক্সিজেন বিচ্ছিন্ন করে স্কুলছাত্রকে হত্যার দায় স্বীকার

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে বকশিশ না পেয়ে অক্সিজেন বিচ্ছিন্ন করে স্কুলছাত্র বিকাশ চন্দ্র কর্মকারকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন খণ্ডকালীন কর্মচারী আসাদুল ইসলাম মীর ধলু। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা মাহমুদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই ওসমান গণি এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, শজিমেক হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন স্কুলছাত্র বিকাশ চন্দ্র কর্মকার। গত ৯ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে তার বাবা বিশু চন্দ্র কর্মকার বাড়তি ৫০ টাকা বকশিশ না দেওয়ায় হাসপাতালের কর্মচারী আসাদুল ইসলাম মীর ধলু বিকাশের অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেন। এতে বিকাশ চন্দ্র মারা যায়।

এরপর হাসপাতালের আনসারদের সহযোগিতায় ধলু পালিয়ে নওগাঁ হয়ে ঢাকা যান। এরপর তার চট্টগ্রামে আত্মগোপন করার কথা ছিল।

১০ নভেম্বর রাতে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রফিকুল ইসলাম সদর থানায় ধলুর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০৪ (ক) ধারায় মামলা করেন। র‌্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানির সদস্যরা ১১ নভেম্বর ভোরে ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে ধলুকে গ্রেফতার করেন।

সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা ধলুকে সদর থানায় সোপর্দ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ধলু বকশিশ না পেয়ে স্কুলছাত্র বিকাশের মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক খুলে ফেলার কথা স্বীকার করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে ধলু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।