বিএনপি নেতা বাবু হত্যা: ১৪ আসামি কারাগারে

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ নুর বাবু হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বড়াইগ্রাম আমলি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী রুহুল আমিন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর সানাউল্লাহ নূর বাবু বনপাড়া বাজারে রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত হন। ঘটনার দীর্ঘ ১১ বছর পর চলতি বছরের ২৪ জুন আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহম্মদ আব্দুল হাই সরকার। নাটোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানযীম আলম তাবাসসুমের আদালতে ওই চার্জশিট জমা দেন তিনি। সানাউল্লাহ নুর বাবু বনপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

চার্জশিটে বনপাড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র এবং আওয়ামী লীগ নেতা কে এম জাকির হোসেনসহ ৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বাদ দেওয়া হয়।

আসামিদের মধ্যে ১৪ জন মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মেহেদী হাসান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- বনপাড়া পৌরসভার মহিষভাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল জাব্বার সোনারের ছেলে জাবের সোনার, ময়েজউদ্দিন মোল্লার ছেলে ইদ্রিস মোল্লা, শামুসল হক মোল্লার ছেলে জিন্নাহ মোল্লা ও জিল্লুর রহমান মোল্লা, মৃত গোলাম রসুলের ছেলে মো. আওয়াল, মৃত শওকত সোনারের ছেলে আজগর আলী সোনার, মৃত হোসেন মোল্লার ছেলে কোরবান মোল্লা, আজিজুল হক কবিরাজের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক কবিরাজ, অসিম উদ্দিন সোনারের ছেলে ওয়াজেদ আলী সোনার, নজরুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা, কালিকাপুর গ্রামের ভবেশচন্দ্র সাহার ছেলে প্রশান্ত কুমার, দিয়াড়পাড়া গ্রামের খোকা মোল্লার ছেলে আব্দুল আজিজ, বনপাড়ার নবীর উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মনির হোসেন এবং মাঝগাঁও ইউনিয়নের নটাবাড়িয়া গ্রামের আলাউদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো. শাহজালাল।

২০১০ সালের ৮ অক্টোবর কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসাবে বনপাড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন সানাউল্লাহ নুর বাবু। সেখানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। পরদিন বাবুর স্ত্রী মহুয়া নুর কচি বাদী হয়ে থানায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরে আদালতের মাধ্যমে সংযোজনের আদেশ নিয়ে আরও ১৮ জন মিলিয়ে মামলায় সর্বমোট ৪৫ জনকে আসামি করা হয়।