কিশোরীকে বৃদ্ধের ধর্ষণ, খবর ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষে আহত ১০

রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক কিশোরীকে পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে খলিলুর রহমান (৭০) নামে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ভুক্তভোগীর বাবা-চাচাসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কান্দ্রা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত খলিলুর রহমান ওই এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও কান্দ্রা ইউপি সদস্য বদিউজ্জামান বদি বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযুক্ত উভয়ে ভূমিহীন। তারা সরকারি ঘরে বসবাস করেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘনকুয়াশা ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই কিশোরী বাড়ি থেকে একটু দূরে শৌচাগারে যায়। তখন খলিলুর রহমান ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।’

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে সর্বনাশ করলো। প্রতিবাদ করায় খলিলুর রহমানের লোকজন আমাদের পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের মারধরে আমার স্বামী ও দেবর গুরুতর আহত হয়েছে। এখন স্বামী ও দেবর পুঠিয়ায় চিকিৎসা নিচ্ছে। আর মেয়েকে নিয়ে আমি রাজশাহী মেডিক্যালে আছি।’

পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানা মামলা করেছে ভুক্তভোগীর মা। ধর্ষণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহতরা হাসপাতালে রয়েছেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।’