‘যারা বোরকা পরে জামিন নিতে গিয়েছিল তারা নাকি সরকার পতন করবে’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির বক্তব্য হলো খালি কলসি বেশি বাজার মতো। যারা জামিন নেওয়ার জন্য পুরুষ হয়েও নারীদের বোরকা পরে হাইকোর্টে হাজির হয়, তারা নাকি সরকার পতন ঘটাবে। আমরা গত কয়েক বছর আগে দেখেছি, বিএনপি নেতারা বোরকা পরে হাইকোর্টে জামিন নিতে গিয়েছিল। এই লজ্জা বিএনপি কোথায় রাখবেন?’

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বলে বেড়াচ্ছে, নিরপেক্ষ সরকার না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আর কোনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। নির্বাচন সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন হয় কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। সুতরাং স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কী আসবে না সেটি তাদের বিষয়।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। তারা অংশগ্রহণ না করে ভেবেছিল ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দেবে। বরং সরকার আরও শক্তিশালী হয়েছিল। ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল। আমাদের সরকার অত্যন্ত সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তাই আগামী নির্বাচনের ট্রেনে উঠবে কী উঠবে না সেটি বিএনপির সিদ্ধান্তের বিষয়। নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না।’

এর আগে, সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে আব্দুল মালেককে সভাপতি ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।