বাসরঘরে নববধূকে ধর্ষণ, স্বামীর দুলাভাই গ্রেফতার

বগুড়ার ধুনটে স্বামীর সহযোগিতায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাসররাতে এক নববধূকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নববধূর (১৮) স্বামীর দুলাভাই আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার রাতে ধুনট থানায় মেয়ের জামাই, তার ভগ্নিপতিসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারীর বাবা। পরে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আলমগীর হোসেন (৩০) সিরাজগঞ্জ সদরের ভুরভুড়িয়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে। ঘটনার দিন শ্বশুরবাড়িতে ছিল আলমগীর। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, ধর্ষণের শিকার নববধূর ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

পুলিশ, মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছার ওই তরুণীর সঙ্গে গত ২৩ মার্চ সরোয়া পাঁচথুপি গ্রামের মানসিকপ্রতিবন্ধী এক যুবকের (২৩) বিয়ে হয়। বিয়ের আগে বরের মানসিক সমস্যার কথা জানতো না মেয়ের পরিবার। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই দিনই নববধূকে স্বামীর বাড়িতে নেওয়া হয়। 

ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে বাসরঘরে যায় স্বামী। কিছুক্ষণ পর ভগ্নিপতি আলমগীর শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে নববধূকে পান করায়। পরে নববধূ ঘুমিয়ে পড়েন। তখন শ্যালকের সহযোগিতায় নববধূকে ধর্ষণ করে আলমগীর। পরদিন ২৪ মার্চ সকালে নববধূ ঘুম থেকে জেগে দেখেন পাশে ভগ্নিপতি ঘুমিয়ে আছে। স্বামী অন্য বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। 

বিষয়টি শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালে উল্টো মিথ্যা বলার অভিযোগে নববধূকে মারধর করেন তারা। ২৫ মার্চ রাতে আলমগীর আবারও নববধূর ঘরে এলে বিষয়টি ফোন করে বাবাকে জানান ভুক্তভোগী। 

খবর পেয়ে নববধূকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে যান বাবার বাড়ির লোকজন। পরে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা হয়। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় আলমগীর হোসেন, ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে জামাতা ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে মামলা করেন নববধূর বাবা।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘প্রধান আসামি আলমগীর হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আদালতে ২২ ধারায় তার জনাববন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।’