ইউএনওর গাড়িচাপায় নিহত সাংবাদিকের পরিবারকে সহায়তার আশ্বাস

নাটোরের সিংড়ায় নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ির চাপায় নিহত সাংবাদিক সোহেল রানা জীবনের স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে দেখা করেছেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। মঙ্গলবার (১০ মে) তিনি ওই সাংবাদিকের বাড়িতে গিয়ে নিহতের দুই সন্তানকে আদর করেন। এ সময় নিহতের স্ত্রী, মা ও ভাইসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।

সিংড়ার ইউএনও এম এম সামিরুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল-আমিন সরকারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা ছিলেন। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা প্রশাসক সাংবাদিক সোহেল রানা জীবনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে পরিবারের লোকদের সমবেদনা প্রকাশ করেন। এর আগে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, জেলা প্রশাসক নিহতের মা আলোমা বেওয়া, স্ত্রী জনি খাতুনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার দুই সন্তান সিয়াম ও সামিয়াকে কোলে নিয়ে আদর করেন।

ইউএনও সামিরুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক সোহেল রানা জীবনের মৃত্যুর কারণে ওই পরিবারে আর কেউ উপার্জনক্ষম নেই। বিষয়টি নজরে আনা হলে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেছেন, ওই সাংবাদিকের স্ত্রীকে কোনও কাজে নিযুক্ত করার বিষয়ে সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন।

সোমবার (৯ মে) নাটোরের সিংড়ার নিংগইন ফিলিং স্টেশনের সামনে নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকারের গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী সাংবাদিক সোহেল রানা জীবন নিহত হন। এই ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান ও সিংড়ার ইউএনও সামিরুল ইসলাম।