মাঠে যুবকের গলাকাটা লাশ, পুলিশ বলছে হত্যা মামলার আসামি

বগুড়ার শেরপুরে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে এনামুল হক নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হত্যা মামলার আসামি বলে দাবি করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া মহাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পেছন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত এনামুল হক (৩০) হাপুনিয়া কলোনি মাঠপাড়ার ভ্যানগাড়িচালক আবদুল মোত্তালেবের ছেলে। 

পুলিশ জানায়, ২০১৪ সালে একই গ্রামের সালমা খাতুন নামের এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মামলার আসামি হন এনামুল। তিন বছর কারাবাসের পর জামিনে ছাড়া পান। 

স্বজনরা জানান, কারাগার থেকে বের হওয়ার পর এনামুল মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এরপর থেকে ভবঘুরে জীবনযাপন করছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় খালার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পেছনে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা।

এনামুলের খালা জাহানারা বেগম বলেন, ‘কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এনামুল আমার বাড়িতে থাকতো। বাড়ির পাশে তাকে কুঁড়েঘর তৈরি করে দিয়েছিলাম। মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় রাতে হাপুনিয়া বাজারসহ আশপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়াতো। দিনের বেলায় ঘরে ঘুমাতো। বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে তার লাশ পড়ে থাকার খবর পাই। কারা, কেন তাকে হত্যা করেছে তা আমি জানি না।’

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় পাগল হিসেবে পরিচিত ছিল এনামুল। তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এনামুল হত্যা মামলার আসামি। তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত চলছে। কারা তাকে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’

খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান শেরপুর থানার এসআই শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘একই এলাকার সালমা খাতুন নামের এক নারীকে হত্যার ঘটনায় এনামুল আসামি ছিলেন। এ মামলায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন।’