গরু-ছাগলে জমজমাট উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় পশুর হাট

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসতে শুরু করে। দুপুরে হাট কোরবানির পশুতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে।

হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা গরু না কিনেই বাড়ি ফিরেছেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকার ও দালাল থাকায় স্থানীয় ক্রেতারা পছন্দমতো গরু কিনতে পারেননি।

জানা গেছে, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকায় অবস্থিত ধাপ সুলতানগঞ্জ হাট উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম হাট হিসেবে পরিচিত। সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও রবিবার হাট বসলেও শুধু বৃহস্পতিবার গবাদি পশু কেনাবেচা হয়ে থাকে। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দুই হাটবারেই গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া কেনাবেচা চলছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর কোরবানির পশু হাটে উঠেছে। মোটামুটি কেনাবেচা হয়েছে বলে, ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি ছিল। তাই এ জাতের গরুর দাম তুলনামূলক বেশি ছিল। হাটে সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাঁকা হয়েছিল ১২ লাখ টাকা।

bogra2

কথা হয় হাটে গরু নিয়ে আসা জুয়েল আকন্দের সঙ্গে। তিনি অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি বড় ষাঁড়ের দাম হেঁকেছেন সাড়ে চার লাখ টাকা। ক্রেতারা তিন লাখ ১০ হাজার টাকা বলেছেন।

দুপচাঁচিয়া উপজেলার নলঘড়িয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ও দোগাছি গ্রামের ইউনুছ আলী জানান, তারা কোরবানির জন্য দেশি জাতের মাঝারি গরু কিনতে এসেছেন। কিন্তু বড় গরুর তুলনায় এ ধরনের গরুর দাম বেশি। তাই তাদের মতো অনেক ক্রেতাই ফিরে যাচ্ছেন। আগামী দিন জেলার অন্য কোনও হাটে যাবেন।

হাটের ইজারাদার জানিয়েছেন, হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন সে জন্য মাইকে প্রচারণা চালানো হয়।