বাংলাদেশের তরুণকে বিয়ে করে রাজশাহীতে মালয়েশিয়ান তরুণী

মালয়েশিয়ান তরুণীকে বিয়ে করে দেশে নিয়ে এসেছেন রাজশাহীর এক তরুণ। দেশে এনে বৌভাতের আয়োজন করেছেন। শুক্রবার (১৫ জুলাই) নগরীর বিনোদপুর বাজারের নিজ বাজায় জাঁকজমকপূর্ণ বৌভাতের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে এই নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা রাশেদা খালেক ও উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক।

ওই তরুণ রাজশাহী নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দুস ছাত্তারের ছেলে জুলফিকার। তার স্ত্রীর নাম অ্যানি ক্যান্ডিলা। ডাকনাম স্যান্ডি।

জুলফিকার আট বছর আগে পড়ালেখার জন্য মালয়েশিয়ায় যান। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন একটি চাকরিও করতেন। ওই সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় স্যান্ডির। গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে রাজশাহীতে আসেন

rajshahi2

জুলফিকার জানান, এই বিয়ে নিয়ে তার ভাই-বোন ও মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুব খুশি। স্যান্ডি আবারও প্রমাণ করলেন সত্যিকারের ভালোবাসা কোনও বাধা, ধর্ম ও ভাষা মানে না। তার স্ত্রী খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। ধর্মান্তরিত হয়ে তাকে বিয়ে করেছেন। স্যান্ডির এই ভালোবাসা তার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি।

স্যান্ডি জানান, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ। আগামী সপ্তাহেই স্বামী জুলফিকারকে নিয়ে নিজ দেশ মালয়েশিয়ায় ফিরতে চান। সেখানে দুজনই নতুনভাবে নিজ ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চান।

rajshahi3

স্যান্ডি মালয়েশিয়ার একজন পাসপোর্ট কর্মকর্তা এবং তার স্বামী জুলফিকার ব্যবসা করেন। তবে বাংলাদেশ তার ভীষণ ভালো লেগেছে, বিশেষ করে রাজশাহীকে। তার শাশুড়ি মা তাকে পছন্দ করায় ও পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় তিনি অনেক খুশি এবং আনন্দিত। শাশুড়ির সঙ্গে সংসারের কাজ করতে চান। কিন্তু শাশুড়ি ভালোবেসে কিছুই করতে দেন না বলেও জানান নববধূ।

ভিনদেশি এই নববধূকে দেখতে এখন জুলফিকারে বাড়িতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী। ভাষাগত ব্যবধান থাকলেও মা, ভাই-বোনদের সঙ্গে এরই মধ্যে বেশ সখ্য গড়ে তুলেছেন স্যান্ডি। তবে তার কথোপকথনে দোভাষীর কাজ করছেন স্বামী জুলফিকার।