ধূমপান-মারামারির অভিযোগে ৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ধূমপান, মারামারি ও গালিগালাজসহ বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছয় শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. নূরজাহান বেগম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

নোটিশে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধূমপান, মারামারি, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ছয় শিক্ষার্থীকে চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার করা হলো। একইসঙ্গে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে।

নোটিশে জানানো হয়, বিদ্যালয়ে মারামারি ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহারের অপরাধে চতুর্থ শ্রেণির তিন ছাত্র, ধূমপানের অপরাধে সপ্তম ও নবম শ্রেণির দুই ছাত্র এবং মারামারির অপরাধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।

এ বিষয়ে কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবুল হাশেম বলেন, ওই ছয় শিক্ষার্থীকে একাধিকবার নিষেধ করার পরও কথা শুনছিল না। ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলের সুনাম আছে। এইটুকু ছেলে স্কুলে এসে ধূমপান করে। এদের দেখে অন্যরা কি শিখবে?

তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে এক শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষার্থীকে লাথি মেরেছে। তাকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা খুব বিপদে আছি। আমরা তো তাদের মারধর কিংবা শাসন করতে পারি না। আগে শাসন ছিল, ছেলেরা ভয়ে কিছু করতো না। এখন সাময়িক বহিষ্কার করা ছাড়া উপায় নেই।

রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. নূরজাহান বেগম বলেন, স্কুলে কোনও শিক্ষার্থীকে মারধর করে শাসনের সুযোগ নেই। সবসময় তাদের বুঝিয়ে সংশোধন করা হয়। কিন্তু ওই ছয় শিক্ষার্থী এতটাই অন্যায় করেছে যে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে পারা যায়নি। মারধর করা তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক আইনের আশ্রয় নিতে চাচ্ছিলেন। ধূমপান করা দুজন এবং অন্য আরেকজনের অপরাধও গুরুতর ছিল।

নূরজাহান বেগম আরও বলেন, প্রতিদিন ৭-৮টি মারামারির ঘটনা ঘটে। সবাইকে সতর্ক করার জন্য স্কুলের শৃঙ্খলা কমিটি ছয় জনের বিরুদ্ধে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত তারা ক্লাসে অংশ নিতে পারবে না। তবে পরীক্ষা দিতে পারবে।