শাজাহানপুরে অ্যাম্বুলেন্সচালক হত্যার ঘটনায় মামলা

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় অ্যাম্বুলেন্সচালক জহুরুল ইসলাম (৪৫) হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার ভাই বাকিরুল ইসলাম শাজাহানপুর থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার চককানপাড়া এলাকায় হত্যার ঘটনা ঘটে। রাতেই তিন জনকে আটক করা হয়। দুপুরে মামলার পর তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো—শাজাহানপুরের চককানপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সালাম সেলিম (৪৩), তার ছেলে মো. সাদিক (২০) এবং একই এলাকার মৃত আফতাব শেখের ছেলে হারুন প্রামানিক (৫০)।

হত্যার শিকার জহুরুল ইসলাম একই উপজেলার চককানপাড়ার (বগুড়া পৌরসভার অংশ) আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালানোর পাশাপাশি ভাড়া ঠিক করে দেওয়ার কাজ করতেন।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে একই এলাকার চালক রাব্বী বাড়ির সামনে অ্যাম্বুলেন্স রেখে ভেতরে যান। এ সময় কে বা কারা তার অ্যাম্বুলেন্সের একটি লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলে। রাব্বী বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সেটা দেখে পাশেই বসে থাকা জহুরুলের ভাতিজা বাপ্পীকে সন্দেহ করেন। এ নিয়ে জহুরুলের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে রাব্বী, হারুন, সেলিম ও সাদিকের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে রাব্বীর অ্যাম্বুলেন্সের গ্লাস ভাঙচুর করে তারা।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন জহুরুল। হোটেল নাজ গার্ডেনের কাছে পৌঁছালে রাব্বী তার সমর্থক হারুন, সেলিম ও সাদিক ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে জহুরুলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় বাড়িতে গেলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোরশেদুল হাসান জানান, অ্যাম্বুলেন্সের লুকিং গ্লাস ভাঙচুর করা হয়েছে সন্দেহে বাগবিতণ্ডা, ভাঙচুর ও ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে রাতেই একই এলাকার হারুন, সেলিম ও সাদিককে আটক করা হয়। মামলার পর তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিন জনকে আদালতে পাঠানো হবে। প্রয়োজনে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।