কারাগারে বাবা-ভাইকে দেখতে যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় কারাগারে থাকা বাবা ও দুই ভাইকে দেখতে যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী (২২)। গতকাল শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি কামাল হোসেন।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে ওই তরুণী বাড়ি থেকে ঠাকুরগাঁও কারাগারে বাবা ও দুই ভাইদের সঙ্গে দেখতে করতে যান। ফেরার পথে সিএনজিতে ওঠেন। একই গ্রামের বাবলু, তালেব ও আসলামসহ পাঁচ জন ওই সিএনজিতে ওঠে। ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় পেটে ছুরি ধরে তরুণীকে একটি গুদামঘরে নিয়ে যায় তারা। সেখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। গভীর রাতে গোবিন্দনগর ইক্ষু ফার্মের রাস্তার পাশে তাকে ফেলে রেখে যায়। পরে পথচারীরা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এরপর ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঠাকুরগাঁও সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. রকিবুল আলম বলেন, ‘তরুণীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। তরুণী যাদের নাম বলেছেন, তাদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে পরিবারের। অভিযুক্তরা তার মামাতো-ফুফাতো ভাই। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে গত বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তরুণীর বাবাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। খবর পেয়ে তার ছেলে ইউএনও অফিসে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলে ছেলেকেও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে তরুণীর আরেক ভাইয়ের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে প্রতিপক্ষ। ওই মামলায় তার ভাই কারাগারে রয়েছেন।