দুর্গাপূজায় নজরদারিতে থাকবে সোশ্যাল মিডিয়া: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দুর্গাপূজা ঘিরে এবার কঠোর নিরাপত্তা ও গুজবরোধে সরকার তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, এবার পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একইসঙ্গে মণ্ডপগুলোতে স্থায়ীভাবে থাকবে আনসার সদস্য। এছাড়া পূজা ঘিরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে অপপ্রচার ও গুজব রোধে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি থাকবে। কেউ কোনও ধরনের শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপচেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টম্বর) রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথ বলেন। 

তিনি আরও বলেন, মণ্ডপে নারী ও শিশুদের উত্ত্যক্তকরণ, ইভটিজিং, মাদক সেবনরোধে এবং যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পূজা উদযাপন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করবেন। আর যে কোনও পরিস্থিতিতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯-এ কল করে সেবা নিতে পরামর্শ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
 
এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মাদকের বিস্তাররোধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সের নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ভিশন-২০৪১-এ মাদকমুক্ত উন্নত দেশ গড়ার কথা জানিয়েছেন। আমরা মাদক থেকে বাঁচতে পারলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগবে না।
 
মাদক মামলার আসামিদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, জেলখানার অধিকাংশ কয়েদি মাদক মামলার আসামি। তাদের মোবাইলকোর্টে শাস্তির ব্যবস্থা করে জেলখানায় চাপ কমাতে হবে। অপরাধী দলীয় হলেও তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিশেষ করে কিছু বর্ডার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেখানে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী চরমপন্থীদের পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমাদের সেটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করতে হবে। এই ক্ষেত্রে রাজশাহীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখন আর কেউ পাবলিক প্লেসে ধূমপান করেন না। এই যে এত বড় একটি অডিয়েন্স, কেউ একটি সিগারেট ধরিয়েছেন বলে আমার মনে হয় না। ঠিক এভাবেই আমরা মাদকেরও বিস্তার রোধ করতে চাই। এ জন্য জনসচেতনতা গড়ে তোলার আহ্ববান জানান তিনি। 

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফর উল্লাহ্’র সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক,‌ জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগের সব জেলার প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।