পুলিশ সদস্যের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় ১০ বছরের কারাদণ্ড

প্রতারণা করে এক পুলিশ সদস্যের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অপরাধে সোহাগ মাহমুদ বাপ্পী ওরফে রনি নামের ব্যক্তিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে দুটি ধারায় কারাদণ্ডসহ ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে মোট ১২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর বগুড়া পুলিশ লাইন্সে কর্মরত কনস্টেবল রবিউল ইসলাম প্রতারণা মামলা করেন। তার বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায়। মামলার এজাহারে তিনি কোনও আসামির নাম উল্লেখ করেননি। পুলিশের তদন্তে সোহাগ মাহমুদ বাপ্পী ওরফে রনির সংশ্লিষ্টতা ধরা পড়ে। তিনি মোবাইল ফোনে বগুড়ার পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে কনস্টেবল রবিউলের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

আদালতের রায়ে সোহাগ মাহমুদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এর ২৩(১)/ ২৪(১) ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ২৪(২) ধারায় পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক। একটি ধারায় সাজা শেষে অন্যটি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। 

এছাড়া আসামির হাজতবাস মূল কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে। আর পলাতক থাকায় তার গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের তারিখ থেকে সাজা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।