রাস্তার বাম পাশ দিয়ে হেঁটে চলেছেন দুই তরুণ। পথে তারা নিজেদের মধ্যে গল্প করছেন, আবার থামছেন। কেউ তাদের চা পানের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ তাদের দাঁড় করিয়ে কথাও বলছেন। এই দুই তরুণের মধ্যে একজন ছিলেন ভিনদেশি। তাকে ঘিরেই যত আগ্রহ সবার।
বলছিলাম পায়ে হেঁটে চার দেশ ভ্রমণে বের হওয়া ২৭ বছর বয়সী নেপালি তরুণ ইহ’র কথা। জানতে চাইলে ছোট নামের এ তরুণ জানান নিজ দেশ নেপাল থেকে শ্রীলঙ্কা ও ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। ভিনদেশি এই তরুণ বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুঁলিয়া পর্যন্ত পায়ে হাঁটবেন। ইতোমধ্যে জয়পুরহাট জেলা পরিভ্রমণ শেষ করেছেন তিনি।
তরুণ ইহ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর থাপাথালি এলাকার বাসিন্দা। নেপালি এই তরুণের ভ্রমণসঙ্গী হয়েছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও তরুণ লেখক হোমায়েদ ইসহাক ওরফে মুন।
ইহের বন্ধু ইসহাক ওরফে মুন বলেন, আমি এভারেস্ট বেজক্যাম্পে যাওয়ার পরে কাঠমান্ডুতে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। ইহ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে পায়ে হেঁটে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারত পাড়ি দেওয়ার পর বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে চান। এরপর সে ঢাকায় পৌঁছালে আমি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তার সঙ্গে মিলিত হই। আমরা পঞ্চগড়ের শেষ পর্যন্ত যাবো।
তিনি আরও বলেন, ইহ বাংলাদেশে এসেছে, এতে অনেক ভালো লাগছে। কেননা একটা অন্য দেশের মানুষ আমাদের দেশে এসেছে, এই দেশের মানুষের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দিতে পারছি, তার জন্য ভালো লাগছে। এর থেকেও বেশি ভালো লেগেছে যে, লম্বা সময় তার সঙ্গে হাঁটছি, বাংলাদেশকে চিনিয়ে দিতে পারছি। ইহ আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে ভিন্নতা খুঁজে পাচ্ছে, তার সঙ্গে ঘুরে আমিও বিষয়টা অনুভব করছি।
ভিনদেশি এই তরুণ আরও জানান, হিলিতে রাতযাপন শেষে শনিবার সকালে হেঁটে আবারও রওনা হবো। এভাবে হেঁটে হেঁটে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় যাবো। সেখান থেকে আবারও পায়ে হেঁটে নিজ দেশ নেপালে ফিরবেন বলে জানান ইহ।