ইউপি সদস্যের মারধরে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু

বগুড়ার শাজাহানপুরে বালু চুরি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মারধরে মো. শাকিব (১৮) নামে এক নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। 

বুধবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। শাকিব উপজেলার খরনা ইউনিয়নের বড় তিতখুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে। 

শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‌‘প্রকল্পের কাজের বালু চুরিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মেম্বারের সঙ্গে বিরোধের জেরে গত ৩০ অক্টোবর রাতে শাকিবকে মারধর করা হয়েছিল। এ ঘটনায় শাকিবের মা আসমা খাতুন স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, খরনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সেলিনা আকতার মুন্নী বীরগ্রাম দক্ষিণপাড়ার রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ পান। প্রকল্পের কাজ নিয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সেলিনার বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ২৪ আগস্ট প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কিছু বালু বিক্রি করে দেন সেলিনা। ওই রাতে ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের সহযোগী নয়ন ও তার লোকজন বালুগুলো চুরি করেন। এ নিয়ে সেলিনার ছেলে মিনহাজ ও তার বন্ধু শাকিবের সঙ্গে জিয়াউর রহমান এবং তার লোকজনের ঝগড়া হয়।

এর জেরে ৩০ অক্টোবর রাতে বীরগ্রামে শাকিবকে একা পেয়ে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেন ইউপি সদস্য জিয়াউর এবং তার সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় শাকিবকে ওই দিন শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে শাকিব মারা যান।

এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি কোথায় আছেন তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা।

তবে ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘ঘটনার পর থেকে জিয়াউর রহমানসহ মামলার আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’