শজিমেক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় বাবা-ছেলে গ্রেফতার

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের (শজিমেক) এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মেহেরাজ হোসেন ফাহিমকে ছুরিকাঘাতে জখমের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলো বগুড়া শহরের মালগ্রাম চাপড়পাড়ার মৃত মনসুর বেপারীর ছেলে ফরিদ বেপারী (৫১) এবং তার ছেলে শাকিল বেপারী (২৬)।

বুধবার সন্ধ্যায় শহরের ছিলিমপুর এলাকায় হাসপাতালের সামনে খান্দার নতুন সড়কের মোড়ে ওই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। রাতেই পুলিশ বগুড়া শহর ও সোনাতলার বালুয়াহাটে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে। তাদের কাছে থেকে চাকুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভিকটিম শিক্ষার্থীর বাবা ঢাকার সবুজবাগের নূর মোহাম্মদ গাজী সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা জানান, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ, এজাহার সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহত শিক্ষার্থী মেহেরাজ হোসেন ফাহিম শজিমেকের হোস্টেলে থাকেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে তিনি নাস্তার জন্য হোস্টেল থেকে বের হয়ে খান্দার নতুন রাস্তার মোড়ে যান। সেখানে ফরিদ বেপারী ও শাকিল বেপারীর ভাজাপোড়ার দোকানে দিয়ে আলুর চপ খান। চপের মধ্যে ময়লা থাকা ফাহিম প্রতিবাদ করেন। তখন ফরিদ তাকে ধাক্কা দেয় এবং তার নির্দেশে তার ছেলে শাকিল পেঁয়াজ কাটার ধারালো চাকু দিয়ে ফাহিমের বাম পাঁজরে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ফাহিম। তার চিৎকারে উপস্থিত মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা জানান, আহত শিক্ষার্থী ফাহিমের বাবা নূর মোহাম্মদ গাজী সদর থানায় ভাজাপোড়া বিক্রেতা ফরিদ এবং তার ছেলে শাকিলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রাতে বগুড়া শহর এবং সোনাতলার বালুয়াহাটে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।